Xiaomi Redmi Note 13 Pro+ Bangla Review
Xiaomi তাদের মোবাইল তৈরীর চিরচারিত নিয়মে একের পর এক ডিভাইস বাজারে লঞ্চ করেই চলেছে। Xiaomi ব্রান্ড প্রায়শই তুলনামূলক কম দামের স্মার্টফোন বাজারে বিশেষ অবদান রাখে। বিশেষ করে Redmi সিরিজ নিম্ন থেকে মাঝামাঝি পর্যায়ের বাজার ধরে রাখে। প্রতি বছর এই Redmi Note সিরিজ স্মার্টফোন বাজারে তুমুল আলোড়ন তৈরী করে। আর তাই Redmi Note সিরিজ সর্বদাই ভিন্ন কিছু নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের সাথে অসাধারন বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে আসে। প্রতি বছরের মতো এবছরেও তারা প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান পাওয়ার জন্য Redmi Note সিরিজ এর টপ মডেলটি সম্প্রতি বাজারে Xiaomi Redmi Note 13 Pro+ লঞ্চ করেছে। আমরা এই স্মার্টফোনটির প্রতিটি দিক গভীর পর্যালোচনায় পরীক্ষা করব, ডিজাইন এবং ডিসপ্লে থেকে শুরু করে এর ক্যামেরা বৈশিষ্ট্যগুলি, প্রসেসর এর ক্ষমতা, ব্যাটারির ক্ষমতা, সকল বিষয় খুব ভালো ভাবে উপস্থাপন করবো। আপনার জন্য এটি সেরা স্মার্টফোন কিনা তা নির্ধারণ করতে আপনাকে আমাদের মতামত দিবো। আসুন তাহলে শুরু করি Xiaomi Redmi Note 13 Pro+ বাংলা রিভিউ।
ডিজাইন কোয়ালিটি(Body & Design):
Redmi Note 13 Pro+ এর নজরকাড়া ডিজাইনে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। ডিভাইসটিতে ম্যাট ফিনিশ সহ একটি গ্লাস ব্যাক রয়েছে, যা এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ায় এবং এটিকে হাতে ধরে রাখা সহজ করে তোলে। ডিভাইস টিতে গ্লাস ব্যাক এর পাশাপাশি একটি লেদার ব্যাক প্যানেল ও রয়েছে। এই লেদার ব্যাক প্যানেল, স্মার্টফোন-টি কে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ফোনটির বডি এলুমিনিয়াম ম্যাটেরিয়াল এর তৈরী। শক্তপোক্ত বডির এই ডিভাইসটির পূরুত্ব কিছু টা বেশি। এটি ৮.৯ মিলিমিটার পুরুত্বের, কেননা ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০০ মিলি এম্পিয়ার আওয়ার এর একটি বড় ব্যাটারী। সেই সাথে স্মার্টফনটির ওজন ২০৪.৫ গ্রাম রাখা হয়েছে। সবথেকে বড় আকর্ষণ রয়েছে এর ডিজাইন কোয়ালিটিতে। মোবাইল টি IP68 সার্টিফাইড, অর্থাৎ ফোনটি ধূলা এবং পানি রোধী। এটি সর্বোচ্চ ১.৫ মিটার পানির গভীরে ৩০ মিনিট পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।
ডিভাইসটির পোর্টস এন্ড বাটন এর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় , এর নিচের দিকে একটি সিম কার্ড স্লট, একটি মাইক্রোফোন, ইউ এস বি টাইপ ছি পোর্ট (USB Type-C 2.0) এবং একটি স্পিকার গ্রিল। মোবাইলটির বাম সাইড সম্পূর্ণ ফাকা রাখা হয়েছে। ডান সাইডে পাওয়ার বাটন এবং ঠিক তার কিছুটা উপরে ভলিউম আপ ও ডাউন বাটন। ফোনের উপরের দিকে থাকছে একটি আই আর ব্লাস্টার, একটি নয়েজ ক্যান্সেলিং মাইক্রোফোন ও একটি স্পীকার গ্রিল। অর্থাৎ ডিভাইস টি তে স্টেরিও স্পিকার রয়েছে।
ফোনটি ৩ টি রেগুলার কালার ভেরিয়েন্ট এ পাওয়া যাবে, কালার গুলো হলো Mirror White, Midnight Dark, Light Dream Space। সেই সাথে এই ডিভাইস টির একটি স্পেশাল কালার ভেরিয়েন্ট ও বাজারে লঞ্চ হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে Aape Trendy Limited Edition.
ডিসপ্লে (Display):
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড(OLED) ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ 68B colors সাপোর্টেড পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে। Xiaomi দাবি করছে এই ডিসপ্লে টি ২য় জেনারেশন এর একটি 1.5K হাই-গ্লোসি চোখের সুরক্ষাযুক্ত ডিসপ্লে। Redmi Note সিরিজে এই প্রথম কার্ভ ডিসপ্লের ডিভাইস এটি। ডিসপ্লেটিতে থাকছে 446 পিপিআই সহ 1220 x 2712 পিক্সেলেস রেজোলিউশন এর একটি ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটিতে পাবেন স্মুত টাচ রেসপন্স এবং অসাধারন মাল্টিমিডিয়া ভিউ-এর অভিজ্ঞতা।
ফোনটির স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৮৯.৭% রাখা হয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল টির চিন ও বেজেল এরিয়া খুবই কম পরিমানে রাখা হয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো Redmi Note 13 Pro+ এর ডিসপ্লে-টি ১৮০০ নিটস পর্যন্ত ব্রাইটনেস তুলতে পারে। ফলে এর আউটডোর ভিজিবিলিটি হবে আসাধারন। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট থাকায় এর টাচ ফিল হবে স্মুথ। এছাড়াও এটিতে Dolby Vision ও HDR10+ এর সাপোর্ট তো থাকছেই। আর এই ডিসপ্লের সকল কিছুকে সুরক্ষা দিচ্ছে গরিলা গ্লাস ভিক্টাস। হ্যাঁ এটি Corning Gorilla Glass Victus প্রোটেক্টেড।
সেন্সর (Sensor):
ফোনটিতে সেন্সর হিসেবে থাকছে অ্যাক্সিলোমিটার, জায়রোস্কোপ, প্রক্সিমিটি, কম্পাস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জিপিএস ও লাইট সেন্সর। আন্ডার-ডিসপ্লে, অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্টটি বেশ নির্ভুল ও দ্রুত কাজ করে। সেই সাথে ফেস আনলকও সঠিক ও দ্রুত কাজ করে।
নেটওয়ার্ক (Network):
ফোনটিতে রয়েছে একই সাথে ২টা ন্যানো সিম এবং এটি তে ডুয়াল স্ট্যান্ডবাই মোড রয়েছে। ফোনটি ৪ জি এবং ৫ জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড। তাছাড়া জিপিআরএস এবং ইডিজিই সুবিধাও রয়েছে । এর নেটওয়ার্ক স্পীড হিসেবে থাকছে এইচএসপিএ 42.2/5.76 এমবিপিএস, এলটিই-এ (ছিএ), ৫জি। ডিভাইসটির নেটওয়ার্ক নিয়ে তেমন কোনো ইস্যু নেই।
পারফরমেন্স (OS):
ফোনে অ্যান্ড্রয়েড 13 অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে যেটা আপনাকে এক অসাধারন অভিজ্ঞতা দিবে। সেই সাথে থাকছে MIUI 14 ই ইউ আই। এর প্রসেসর হিসেবে Mediatek Dimensity 7200 Ultra প্রসেসর ব্যাবহার করা হয়েছে। এটি একটি ৪ নেনো মিটার বেস এর অক্টা-কোর চিপ। এর সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ২.৮ গেগা হার্জ। ২ টি পাওয়ার কোর এবং ৬ টি এপিশিয়েন্ট কোর এর সাথে এই প্রসেসর টি মাল্টি টাস্কিং এ দিবে এক সুপার স্মুথ পারফর্মেন্স। সেই সাথে এটি ৪ নেনো মিটার বেস এর চিপ হওয়ায় এর ব্যাটারি ব্যাক-আপ ক্ষমতা খুবই ভালো। Mali-G610 MC4 এর একটি শক্তিশালী জি-পি-ইউ (GPU) থাকছে ডিভাইস টি তে। বড় বড় গেমিং থেকে শুরু করে মাল্টি টাস্কিং, মিডিয়া ভিইউং এবং সারাদিনের সকল প্রকার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আপনাকে দিবে এক বাটার স্মুথ অভিজ্ঞতা।
র্যাম এবং রম (RAM & Internal Storage):
Xiaomi কোম্পানি 12GB/256GB, 16GB/256GB & 16GB/512GB -এর এই ৩ টি ভেরিয়েন্টে ফোনটি লঞ্চ করেছে। গেমিং, গ্রাফিক্স এবং র্যাম ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে ডিভাইসটি এক কথায় অসাধারণ। উচ্চ গ্রাফিক্স গেমগুলি সহজেই, অনায়াসে চালানো যাবে এই পাওয়ারফুল ডিভাইসটিতে। তবে এতে থাকছে না আলাদা ভাবে মেমোরি কার্ড ব্যাবহারেরে সুবিধা। এর স্টোরেজে সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি ধারন ক্ষমতা রয়েছে। তো সেই ক্ষেত্রে যাদের স্টোরেজ পরিমান বেশি দরকার তারা চাইলে ১৬ জিবি র্যাম এর সাথে ৫১২ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট টা নিতে পারবেন। স্মার্টফোনটির প্রতিটি ভেরিয়েন্ট ই UFS 3.1 সাপোর্ট করে।
ক্যামেরা (Camera):
ফোনের পিছনে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে, যার মেইন ক্যামেরা হিসেবে ২০০ এমপি f/1.7 এপাচার এর একটি ওয়াইড এঙ্গেল সেন্সর রয়েছে। একটি ৮ এমপি আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর ও ২ এমপি এর একটি ম্যাক্রো সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে। যার সাহায্যে আপনি সুন্দর মানের ছবি এবং সর্বোচ্চ 4K@24/30fps ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন । এটিতে OIS সম্বলিত ক্যামেরা, সেই সাথে রয়েছে gyro-EIS সিস্টেম আছে। যার ফলে আপনার ভিডিওগ্রাফি হবে একদম প্রফেশনাল মাত্রার।
এছাড়া এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে ফ্রন্ট এ রয়েছে ১৬ এমপি সেলফি ক্যামেরা যার সাহায্যে আপনি সুন্দর মানের ছবি এবং সেলফি তুলতে পারেন। আপনি সামনের ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 1080p@30fps ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।
ব্যাটারি (Battery):
মোবাইলটিতে নন-রিমুভয়্যবল লিথিয়াম পলিমার এর 5000 এমএএইচ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যার সাহায্যে আপনি গড়ে ১১৫ ঘন্টা অবধি স্বাভাবিক ভাবে চালাতে এবং 16 ঘন্টা অনায়াসে নেট ব্রাউজিং করতে পারবেন। পুরো চার্জে, আপনি 3G নেটওয়ার্কে এ প্রায় 39 ঘন্টা পর্যন্ত কথা বলতে পারেন। ফোনটি পুরো চার্জ হতে প্রায় ১৯ মিনিট সময় নেবে 120W দ্রুত চার্জিং চার্জার এর মাধ্যমে। সারাদিন অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন, চিন্তা করা লাগবে না চার্জ ব্যাক-আপ নিয়ে।
অন্যান্য ফিচারস (Extra Features):
ডিভাইস টি ডুয়াল ব্যান্ডের ওয়াই-ফাই ৬ সাপোর্ট করে। এটি ব্লুটুথ ৫.৩ এর সাথে A2DP, LE ফিচার সাপোর্ট করে। NFC এভেইলেবল, তবে NFC টা বাজার এবং দেশ এর উপর নির্ভর করে এভেইলেবল থাকবে। Infrared port সংযুক্ত থাকবে এই ডিভাইসটি তে। এছাড়াও স্টেরিও স্পিকার এর সাথে 24-bit/192kHz audio কোয়ালিটি থাকবে। কিন্তু দুংখের বিষয় 3.5mm অডিও পোর্ট থাকছে না ফোনটিতে।
বাংলাদেশের বাজারে Xiaomi Redmi Note 13 Pro+ এর মূল্য (redmi note 13 pro+ price in bangladesh):
বাংলাদেশে ফোনটি এখনো অফিসিয়ালি আসে নাই। তবে আন-অফিসিয়ায়ল ভাবে ডিভাইস টি পাওয়া যাচ্ছে। আন-অফিসিয়াল ভাবে ডিভাইসটির 12GB/256GB ভেরিয়েন্ট এর দাম ধরা হয়েছে ৩৯,০০০ টাকা মাত্র। সময়, দোকান ও মার্কেট এর পরিবর্তনে এর আন-অফিসিয়াল দাম কম বেশি হতে পারে।
এবার আসি মূল সুবিধা ও অসুবিধার দিকে…
যে কোন জিনিসের ভাল এবং মন্দ দুইটা দিক থাকে। প্রথমে খারাপ দিকগুলো অর্থাৎ অসুবিধাসমুহ জেনে নেয়া যাক।
অসুবিধাসমুহ:
বডি:
এর বডি এলুমিনিয়াম এর হওয়া সত্বেও এর থিকনেস কিছুটা বেশি। ব্যাক প্যানেল এর লেদার টেকচার এ দাগ পড়ার সম্ভবনা বেশি। এজন্য সবসময় ব্যাক কভার ব্যাবহার করুন। ডিভাইস টি পুরু হওয়া সত্বেও এতে থাকছে না ৩.৫ মিলিমিটার এর জ্যাক পোর্ট।
স্টোরেজ:
ফোনটিতে থাকছে না কোনো প্রকার বাড়তি স্টোরেজ যোগ করার অপশন। অর্থাৎ এটিতে মেমোরি কার্ড ব্যাবহারের অপশন নেই। ২৫৬ জিবি স্টোরেজ দিয়ে বেজ ভেরিয়েন্ট শুরু হলেও, এই ভেরিয়েন্ট এ অনেকের আরো বেশি স্টোরেজ এর প্রয়োজন হতে পারে।
অন্যান্য অসুবিধাঃ
ডিভাইস টি চায়না ভেরিয়েন্ট এর হওয়ায় এর ভিতরে অনেক ধরনের অ্যাপ প্রি ইন্সটল থাকবে যা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। এ ছাড়াও এটি বাংলাদেশের ম্যাপ নেভিগেটেড কিছু অ্যাপ (যেমনঃ- উবার, পাঠাও, ফুড পান্ডা ইত্যাদি) রানিং এ ঝামেলা হতে পারে।
সুবিধাসমুহ:
অনেক তো বদনাম শুনলেন এবার ভাল দিকগুলোও জেনে নেওয়া যাক…
ডিজাইন:
ফোনটির ডিজাইন এক কথায় অসাধারন। মন জুড়িয়ে যাওয়ার মত ডিজাইন। এর ক্যামেরা মডিউল টা বিশেষ করে আপনাকে আকর্ষিত করবে। প্রথমবার তাকালে দ্বিতীয়বার ফিরে তাকানোর মত একটা ডিজাইন। আর লেদার ব্যাক হওয়ায় আপনি চাইবেন ই না ডিভাইস টি কখনো হাত ছাড়া করতে।
ডিসপ্লে:
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ 68B colors সাপোর্টেড ডিসপ্লে । ফুল এইচডি প্লাস ১.৫K এবং বড় ডিসপ্লে হওয়ায় ডিসপ্লেটিতে পাবেন অসাধারন এক মিডিয়া ভিউএর অভিজ্ঞতা।
গেমিং পারফর্মেন্স:
ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক এর সুপার পাওয়ার এর একটি চিপসেট। যেটি ৪ নেনো মিটার ফেব্রিকেশন এ তৈরী। এটিতে ২.৮ গেগা হার্জ এর ২ টি কোর রয়েছে, যার ফলে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এ আপনি পাবেন আল্ট্রা স্মুথ এক পারফর্মেন্স।
ব্যাটারি:
মোবাইলটিতে নন-রিমুভয়্যবল লিথিয়াম পলিমার এর 5000 এমএএইচ এর বড় ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যার সাহায্যে আপনি গড়ে ১১৫ ঘন্টা অবধি স্বাভাবিক ভাবে চালাতে এবং 16 ঘন্টা নেট ব্রাউজিং করতে পারবেন। পুরো চার্জে, আপনি 3G নেটওয়ার্কে এ প্রায় 39 ঘন্টা পর্যন্ত কথা বলতে পারেন। ৬ থেকে ৭ ঘন্টা গেমিং করতে পারবেন। আর ১২০ ওয়াট এর দ্রুত চার্জিং ক্ষমতা তো রয়েছেই।
আমার নিজেস্ব মতামত (My Opinion):
আমার মতে হয় এতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি অনেক ভাল মানের। সব দিক বিবেচনা করে আপনি যদি খুব বেশি মোবাইল ব্যাবহারকারী এবং গেম প্রেমী হন, আর দামটা যদি খুব একটা ম্যাটার না করে তবে নিঃসন্দেহে হতে পারে এই মোবাইলটি আপনার পছন্দের শীর্ষে থাকা একটি মোবাইল।
দীর্ঘদিন ধরে Xiaomi, মোবাইল প্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা একটি নাম। ব্যক্তিগতভাবে Xiaomi নাম শুনলে আমার মাঝেও একটা দুর্বলতা কাজ করে। যেহেতু আগেও Redmi Note সিরিজ এর প্রতিটি মডেল বাজারে এসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় এই মোবাইলটিও সকল মোবাইল ব্যাবহারকারীদের মন জয় করে তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পরবে।