Apple iPhone 13 Pro Max BD Price and Full Bangla Review
স্মার্টফোনের জগতে যখনি একইসাথে নামী, দামি ও সেরা ফোনের কথা ওঠে তখনি সবার চিন্তা-চেতনায় উঁকি দেয় অ্যাপল বা আইফোনের ফোনগুলো। ১ এপ্রিল ১৯৭৬ প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন-এর হাত ধরে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ত্রুটিহীন ডিজাইন, সেরা সফটওয়্যার ও ইউজার ইন্টারফেস ব্যাবহারের অভিজ্ঞতা, অনলাইন সহ বিক্রয় পরবর্তী পরিষেবা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠানটিকে এনে দিয়েছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ও খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের খেতাব।
শুরু থেকে কম্পিউটার, মিডিয়া প্লেয়ার সহ কিছু যুগোপযোগী ইলেক্ট্রনিক্স ও বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করলেও প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩০ বছর পর তাদের প্রথম স্মার্টফোন “Apple iPhone” লঞ্চ করে। সেইথেকেই যুগেরসাথে তাল মিলিয়ে প্রতিবছর এনে চলেছে চমকপ্রদ সব স্মার্টফোন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি গতবছর “iPhone 12” সিরিজ এবং এই চলতি বছরে তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন “iPhone 13” সিরিজ লঞ্চ করে। “iPhone 13” সিরিজের ফোনগুলো হল “Apple iPhone 13 mini“, “Apple iPhone 13“, “Apple iPhone 13 Pro” ও “Apple iPhone 13 Pro Max“।
এই মুহুর্তে আমরা আলোচনা করতে চলেছি তাদের সর্বশেষ সিরিজের সর্বশ্রেষ্ঠ স্মার্টফোন “Apple iPhone 13 Pro Max”- এর বিস্তারিত বিবরণ সহ স্মার্টফোনটির সুবিধা-অসুবিধা সমূহ। এখানে “অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স” এর দাম, ফোনটির প্রসেসর এবং বডি সহ অন্যান্য পার্টস সম্পর্কে, এর সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ, আর সর্বোপরী ফোনটি কাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী অর্থাৎ কারা কিনবেন সে সম্পর্কে থাকছে আমাদের নিজেস্ব মতামত।
সংক্ষিপ্ত বিবরন:
বিগত বছরের ন্যায় এই বছরেও সেপ্টেম্বর মাসে “অ্যাপল আইফোন ১৩” সিরিজ লঞ্চ বা, উন্মুক্ত করে। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অ্যাপল তাদের সর্বশেষ সিরিজের সর্বোচ্চ মানের স্মার্টফোন “অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স” আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে এবং ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাজারের উদ্দেশ্যে লঞ্চ করে। চলতি মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে Unofficially আসলেও, ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের হাত ধরে Officially বাজারে আসে “অ্যাপল আইফোন ১৩” সিরিজ। ফোনটির দাম নির্ধারন করা হয়েছে…
6GB+128GB | 1,62,999 Taka |
6GB+256GB | 1,76,999 Taka |
অ্যাপল এর প্রোডাক্ট এর ফিচার, ডিজাইন, পারফরমেন্স সর্বদা অন্য সবার থেকে উন্নত, সুন্দর ও অন্যদের থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। ব্রান্ডের দিক দিয়ে তাকালে “অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স” এই মুহূর্তে বাজারের সবথেকে দামি এবং বেষ্ট কোয়ালিটির স্মার্টফোন এটি।
- আজকের আলোচ্য বিষয় সমুহ একনজরে :-
Apple iPhone 13 Pro Max এর বিস্তারিত বিবরন:
ডিজাইন ও বডি:
১৪ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করা iPhone 13 Pro Max স্মার্টফোনটি গত বছরে লঞ্চ করা iPhone 12 Pro Max এর উত্তরসূরি। স্মার্টফোনটির স্টেইনলেস স্টীল ফ্রেম, সামনে/পিছনে গ্লাস ও এর অন্যান্য ব্যাহ্যিক কাঠামো ফোনটিকে দিয়েছে প্রিমিয়াম আর নজরকাড়া এক ডিজাইন। তবে iPhone 13 Pro Max এর বাহিরের ডিজাইন এর সাথে iPhone 12 Pro Max এর অধিকাংশ স্থানেই মিল খুজে পাওয়া যায়।
iPhone 13 Pro Max মোবাইলটির দৈর্ঘ্য 160.8 mm, প্রস্থ 78.1 mm এবং থিকনেস 7.7 mm। ফোনটির ওজন 240 গ্রাম হওয়ায় হাতে ধরতে বেশ কম্ফোর্টেবল। এর সামনে ও পিছনে গরিলা গ্লাস এর প্রোটেকশন এবং বডি বা, ফ্রেম স্টেইনলেস স্টীল দিয়ে তৈরি। এর সামনে অর্থাৎ ডিসপ্লে এর ঠিক উপরের দিকে মাঝামাঝিতে একটি নচ রয়েছে যেটা পূর্বে লঞ্চ করা iPhone 12 Pro Max এর থেকে কিছুটা ছোট।
ফোনটির পিছনে অর্থাৎ ব্যাকপার্টের উপরে বাম পাশে বর্গাকার আকৃতির ক্যামেরা বাম্প বসানো হয়েছে যেটা দেখতে বর্তমান সময় খুবই স্বাভাবিক কারন, এর আগেও অ্যাপল সহ অন্যান্য কিছু ব্রান্ডের ফোনে এই স্টাইলের ক্যামেরা মডিউল দেখা গেছে। এর পাওয়ার অন অফ বাটন ডিসপ্লে এর ডান পাশে সেট করা হয়েছে এবং এর ভলিউম আপ/ডাউন বাটন এবং সিম-ট্রে ডিসপ্লে এর বাম পাশে সেট করা হয়েছে। যেগুলো আসলেই বেশ সুবিধাজনক স্থানে দেওয়া হয়েছে।
ফোনটির নিচের দিকে দেয়া হয়েছে লাইটনিং ইউএসবি পোর্ট (Lightning USB 2.0), মাউতস্পিকার (Mic) এবং লাউডস্পিকার। আর ফোনটির উপরে মাঝ বরাবর দেয়া হয়েছে ইয়ারস্পিকার। ফোনটিতে রয়েছে ধুলা-বালি ও পানি রোধের (IP68 dust/water resistant) ব্যাবস্থা।
মোবাইলটি ৪টি রঙে বাজারে পাওয়া যাবে। রংগুলি হলো, গ্রাফাইট (Graphite), সোনালি/গোল্ড (Gold), সিলভার (Silver) & সিয়েরা ব্লু (Sierra Blue)। এখন পর্যন্ত বাজারে লঞ্চ বা উন্মুক্ত হওয়া মডেলগুলো হল:
- iPhone 13 Pro Max
- A2643 – (International)
- A2484 – (USA)
- A2641 – (Canada, Japan)
- A2644 – (China, Hong Kong)
- A2645 – (Russia)
ডিসপ্লে:
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওলেড (Super Retina XDR OLED) ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ 16M color সাপোর্টেড নচ যুক্ত ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটির 458 এর পিপিআই সহ 1284 x 2778 পিক্সেলের রেজোলিউশন রয়েছে। ডিসপ্লেটিতে রয়েছে 120Hz রিফ্রেশ রেট-এর সাথে HDR10, Dolby Vision, Wide color gamut ও True-tone এর সাপোর্ট। এর কারনে ডিসপ্লেটিতে পাবেন স্মুত টাচ রেসপন্স এবং অসাধারন মিডিয়া ভিউএর অভিজ্ঞতা ।
দিনের আলোতে এই ডিসপ্লে আপনাকে দিবে পর্যাপ্ত ব্রাইটনেস, কেননা এতে রয়েছে সর্বোচ্চ 1000 nits (HBM) ও 1200 nits (peak) ব্রাইটনেস। ডিসপ্লের প্রোটেকশন এর জন্য এতে ব্যবহারিত হয়েছে Scratch-resistant ceramic glass ও oleophobic coating.
সেন্সর:
ফোনটিতে সেন্সর হিসেবে থাকছে অ্যাক্সিলোমিটার, ম্যাগ্নেটমিটার (কম্পাস), গাইরো, প্রক্সিমিটি, ব্যারোমিটার, জিপিএস ও লাইট সেন্সর। অ্যাপল এর ফেইস আইডি (Face ID) এর কথা কে না জানে। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল সুরক্ষায় ব্যবহারিত উন্নত ও সবথেকে সুরক্ষিত ব্যাবস্থার মধ্যে অ্যাপল এর ফেইস আইডি (Face ID) অন্যতম। তাদের অন্যান্য ফোনের মতো এই ফোনটিতেও ব্যাবহার করা হয়েছে ফেইস আইডি (Face ID), যা অধিক দ্রুত ও সঠিক ভাবে সুরক্ষা প্রদান করে।
এছাড়া মোবাইলটিতে রয়েছে অ্যাপল পে (Apple Pay) এর সুবিধা। মোবাইলটিতে আরও আছে Ultra Wideband (UWB) এর সাপোর্ট ও সিরি (Siri) এর মতো এক অসাধারন ও প্রায় সত্যিকারের ভয়েচ অ্যাসিস্টেন্ট এর সাপোর্ট।
নেটওয়ার্ক:
ফোনটিতে থাকছে মাত্র ১টা ন্যানো সিম ব্যাবহার এর সুবিধা। ফোনটি 2জি, 3জি, 4জি এবং 5জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা দিবে। তাছাড়া জিপিআরএস এবং ইডিজিই সুবিধাও রয়েছে। এর নেটওয়ার্ক স্পীড হিসেবে থাকছে এইচএসপিএ 42.2 / 5.76 এমবিপিএস, এলটিই-এ, 5জি, ইভি-ডিও রেভ.এ 3.1 এমবিপিএস। যার ফলে কোনো ফাইল ডাউনলোড বা, আপলোড হবে খুব দ্রুত।
পারফরমেন্স:
ফোনটিতে আইওএস ১৫ (iOS 15) কে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে আপডেট এর মাধ্যমে আইওএস-এর পরবর্তী ভার্সনে নিয়ে যাওয়া যাবে। যেটা আপনাকে এক অসাধারন ইউজার ইন্টারফেস এর অভিজ্ঞতা দিবে। এর প্রসেসর হিসেবে অ্যাপল এর তৈরি স্মার্টফোন ভিত্তিক সর্বশেষ Apple A15 Bionic (5 nm) এর Hexa-core (2×3.22 GHz Avalanche + 4xX.X GHz Blizzard) প্রসেসর ব্যাবহার করা হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে Apple GPU (5-core graphics) গ্রাফিক্স চিপ।
র্যাম এবং রম:
অ্যাপল (Apple) কোম্পানি (6 জিবি / 128 জিবি, 6 জিবি / 256 জিবি, 6 জিবি / 512 জিবি & 6 জিবি / 1 টিবি ) -র ৪ টি ভেরিয়েন্টে ফোনটি চালু করেছে। বরাবরের মতো অ্যাপলের এই ফোনটিতেও থাকছেনা বাইরে থেকে মেমোরি কার্ড যোগ করার সুযোগ।
ক্যামেরা:
মেইন ক্যামেরা :
অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর পিছনে ৪ টি ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে যার মেইন ক্যামেরা হিসেবে 12 এমপি f/1.5 এপাচার এর ওয়াইড এঙ্গেল সেন্সর+ 12 এমপি f/1.8 সেন্সর যুক্ত আল্ট্রাওয়াইড + 12 এমপি f/2.8 সেন্সর যুক্ত টেলিফটো ক্যামেরা + TOF 3D LiDAR scanner সেন্সর যুক্ত ডেপ্ত ক্যামেরা রয়েছে যার সাহায্যে আপনি সুন্দর মানের ছবি এবং সর্বোচ্চ 4K@24/30/60fps ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।
ম্যাক্রো ক্যামেরা মোড
এর নতুন ডিজাইন করা লেন্স এবং শক্তিশালী অটোফোকাস সিস্টেমের সাহায্যে, নতুন আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা মাত্র 2 সেমি ফোকাস করতে পারে।
নাইট মোড
আইফোন এ নাইট মোড ক্যামেরা রয়েছে। ফোনটি স্বল্প আলতেও LiDAR স্কানারের মাধ্যমে নাইট পোর্টেড মোড সহ আলট্রা ওয়াইড ও টেলিফটো সেন্সর ব্যবহার করেও ছবি তোলা যাচ্ছে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স দিয়ে। যার মাধ্যমে
ZOOM
টেলিফোটো ক্যামেরা ব্যবহার করে 3x অপ্টিক্যাল জুম করা যায়
মেইন ক্যামেরা ব্যবহার করে 6x অপ্টিক্যাল জুম করা যায়
সিনেম্যাটিক মোড
সিনেম্যাটিক মোড ব্যবহার করে প্রফেশনাল ভিডিও ক্যামেরার মতো করে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এর মাধ্যমে ক্যামেরা ভিডিও রেকর্ড করা কালিন সময়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সাবজেক্ট ও অবজেক্ট চিনে তা ফোকাস করতে পারে। এছাড়া ভিডিও রেকর্ড করার পরেও এডিট এর মাধ্যমে এর প্রয়োজনীয় ফোকাস ঠিক করা যায়।
সেলফি ক্যামেরা :
অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে ফ্রন্ট এ রয়েছে ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে যার মেইন ক্যামেরা হিসেবে 12 এমপি f/2.2 এপাচার এর ওয়াইড এঙ্গেল সেন্সর + SL 3D সেন্সর যুক্ত ডেপ্ত সেলফি ক্যামেরা যার সাহায্যে আপনি সুন্দর মানের ছবি এবং সেলফি তুলতে পারেন। আপনি সামনের ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 4K@24/25/30/60fps ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন।
ব্যাটারি:
মোবাইলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এখন পর্যন্ত আইফোনে ব্যবহৃত সর্বোচ্চ ব্যাটারি, লিথিয়াম আয়নের নন-রিমুভয়্যবল 4352 এমএএইচ ব্যাটারি। যার সাহায্যে আপনি গড়ে 121 ঘন্টা অবধি স্বাভাবিক ভাবে চালাতে পারবেন, 24:12 ঘন্টা ভিডিও প্লেব্যাক এবং 20:10 ঘন্টা নেট ব্রাউজিং করতে পারবেন। সেই সাথে আপনি টানা 9-10 ঘন্টা গেমিং এক্সপেরিয়েন্স পাচ্ছেন এই ডিভাইস টি দ্বারা। পুরো চার্জে, আপনি 3G নেটওয়ার্কে এ প্রায় 27:26 ঘন্টা পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন।
ওভারঅল আপনি যদি স্বাভাবিক ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফুল চার্জে অনায়সে ১.৫-২ দিন কাটিয়ে দিতে পারবেন। ফোনটি 27W দ্রুত চার্জিং সাপোর্টের মাধ্যমে 100% চার্জ হতে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের মতো সময় নিবে। মোবাইলটির অন্যান্য চার্জিং ফ্যাসিলিটি হিসেবে পাচ্ছেন 15W এর MagSafe wireless charging সাপোর্ট ও 7.5W এর Qi magnetic fast wireless charging সাপোর্ট।
এবার আসি Apple iPhone 13 Pro Max এর মূল সুবিধা ও অসুবিধার দিকে…
ভালো-খারাপ এই দুই নিয়েই সবকিছু, একটা বস্তু বা, জীবের যেমন ভালো দিক থাকে তেমনি তার খারাপ বা, মন্দ দিকও থাকে। প্রথমে খারাপ দিকগুলো অর্থাৎ অসুবিধাসমুহ জেনে নেয়া যাক।
অসুবিধাসমুহ
বডি:
এর বডি বা, ডিজাইনের দিকে চোখ পরলেই মনে পরে ১২ প্রো ম্যাক্স এর ডিজাইন। ডিসপ্লে এর নচ, ক্যামেরা স্ট্রাকচার সাইজ ও সামান্য ওজনের পার্থক্য ছাড়া আর কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। উন্নত ক্যামেরা সেন্সর এর কারনে ক্যামেরা বাম্প টা একটু বেশিই বড় আর উচু, যার ফলে ফোনটি কোনো সমান্তরাল স্থানে রাখলে একপাশ উচু আর অন্যপাশে নিচু দেখায়।
গ্লাস ও স্টিলের বডি হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি আঙ্গুলের ছাপ পড়ে মোবাইলের বডিতে। তাই সবসময় ব্যাক কভার ব্যাবহার করুন।
যদি আপনি আগে কখনও আইফোন ১২ হাতে না ধরে থাকেন তবে, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স আপনার হাতে অনেকটাই ভারি মনে হতে পারে।
ডিসপ্লে:
অ্যাপলের স্মার্টফোনে ব্যবহৃত বড় সাইজের নচ এর কারনেই দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ব্যাবহারকারীদের। ব্যবহারকারীদের চাহিদা নচবিহীন স্মার্টফোনের হলেও কোম্পানি, আইফোন ১২ সিরিজ এর তুলনায় মাত্র ২০% নচ বাদ দিয়েছে। যার আকৃতি এখনো অনেকটাই বড়।
মোবাইলটির ডিসপ্লেতে 120Hz রিফ্রেশ রেটের সুবিধা দিলেও, কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের ক্ষেত্রে এটি চাহিদা মাফিক ফলাফল দেয় না।
পারফরমেন্স:
A15 Bionic চিপসেটটি নিয়ে আপনি যদি এর সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতার পরিমাপ বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান তবে সেটি অবশ্যই আপনাকে হতাস করবে। কেননা এটি তার সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতায় কাজ করার সময় কিছুটা ল্যাগিং এর সাথে কাজ করে।
আইওএস এর সকল সীমাবদ্ধতা যদি আপনার কাছে ভালো লাগে বা, এটার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন তাহলেই ভালো, অন্যথায় আইফোনের চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।
ফোনটির দ্রুত চার্জিং এর বিষয় টা ততটা আশানুরূপ অভিজ্ঞতা দেয় না।
দাম:
আইফোন কিনতে চাইলেই প্রথমে দরকার বড় ও মজবুদ পকেটের, যাতে করে বেশী টাকা নিয়ে যেয়ে বিনিময়ে ফোনটি নিয়ে আসতে পারেন। মনে আশা থাকলেও ফোনের দাম অত্যাধিক হওয়ায় কিনতে পারেনা অনেকেই।
সুবিধাসমুহ:
অনেক তো বদনাম শুনলেন এবার ভাল দিকগুলোও জেনে নেওয়া যাক…
ডিজাইন:
আইফোনের ডিজাইন, এক কথায় অসাধারন, মন জুড়িয়ে যাবার মত। প্রথমবার তাকালেই এর ডিজাইন আপনাকে মুগ্ধ করবেই। মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের সাথে মোবাইলটি ধুলা-বালি ও পানি রোধক।
ডিসপ্লে:
ফোনটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওলেড ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ 16M color সাপোর্টেড ডিসপ্লে। এর সবচেয়ে উজ্জ্বল OLED স্ক্রিন ও সাথে HDR10 এর সাপোর্ট থাকায় এর কালার অ্যাকুরেসি সত্যিই প্রশংসনীয়। ফুলএইচডি প্লাস এবং বড় ডিসপ্লে হওয়ায় ডিসপ্লেটিতে পাবেন অসাধারন এক মিডিয়া ভিউএর অভিজ্ঞতা। সেই সাথে এতে আরও থাকছে ডলবি ভিশন ও 120Hz এর হাই রিফ্রেশ রেট এর সুবিধা।
ডিসপ্লেটিকে প্রটেকশন এর জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের জন্য স্পেশালভাবে তৈরি করনিং গরিলা এর Scratch-resistant ceramic glass, oleophobic coating গ্লাস। যা করনিং গরিলা এর অন্যান্য গ্লাসের তুলনায় বেশ শক্তিশালী।
ক্যামেরা:
আইফোনের ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সাথে অন্য কোন ফোনের ৪৮/৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার কোন তুলনা হয় না। আইফোন 13 প্রো ম্যাক্সের ক্যামেরাকে ‘আইফোনের সবচেয়ে বড় ক্যামেরা আপডেট’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এর চারটি রিয়ার ক্যামেরাই নতুন এবং কোনো না কোনোভাবে উন্নত। এছাড়া এর ম্যাক্রো মোড, সিনেম্যাটিক মোড, টেলিফটো মোড থেকে প্রাপ্ত আউটপুটও অকল্পনীয়। মোবাইলটির সেলফি ক্যামেরা থেকে পাওয়া পিকচার কোয়ালিটিও অতুলনীয়।
সাউন্ড:
ফোনটির নিচের দিকে দেয়া হয়েছে মাউতস্পিকার (Mic) এবং স্টেরিও লাউডস্পিকার। আর ফোনটির উপরে দেয়া হয়েছে ইয়ারস্পিকার, যে গুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
স্টোরেজ:
এতে থাকছে অতিরিক্ত ১ টেরা (১০২৪ জিবি) পর্যন্ত স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট। যার ফলে, আপনি যদি মিডিয়া প্রেমী হন কিংবা, যদি ছবি তুলতে বা, ভিডিও করতে ভালবাসেন তবে ভাবতে হবেনা ফোনের ধারণ ক্ষমতা নিয়ে।
পারফরমেন্স:
সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম-এর অসাধারন ইউজার ইন্টারফেস এর অভিজ্ঞতা আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য ভুবনে।
Apple A15 Bionic প্রসেসরটি অ্যাপলের লেটেস্ট ও সেরা স্মার্টফোন প্রসেসর। 5nm এর তৈরি চিপটি একটি ব্যাটারি সাশ্রয়ী প্রসেসর।
ব্যাটারি:
আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স-এ ব্যাবহার করা হয়েছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যাটারি। মোবাইলটিতে নন-রিমুভয়্যবল লিথিয়াম আয়নের 4373 এমএএইচ এর এক বিশাল সাইজের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যা আপনাকে ভুলিয়েই দিবে ফোন কে রিচার্জ করার কথা। 60Hz রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করে এর থেকে পাবেন ক্লাস-লিডিং ব্যাটারি লাইফের এক্সপেরিয়েন্স। এর ২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জার আপনার ফোনটিকে দ্রুত সময়ে চার্জ হতে সাহায্য করবে।
অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স টিয়ারডাউন:
যাদের জন্য এই ফোনটি:
বিশেষ করে যারা অ্যাপল প্রেমী, ব্রান্ড ভ্যালুটাকে প্রাধান্য দেন ও সেইসাথে ভিডিওগ্রাফি ভালবাসেন তাদের জন্য এই ফোনটি বেস্ট একটি চয়েজ।
তবে সাধারনত বিভিন্ন সেলিব্রেটি, ধনী বা, যাদের বেষ্ট একটা সিকিউরিটি প্রয়োজন সেই সকল ইউজারদের জন্য এই ফোনটি সেরা।
To know more about Apple iPhone 13 Pro Max Full Specification and Review Click Here
আমার নিজেস্ব মতামত:
আমার মনে হয় এতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে তার মান অসাধারন। সব দিক বিবেচনা করে আপনি যদি সাধারণ ব্যাবহারকারী, ভিডিওগ্রাফার এবং সেই সাথে অ্যাপল প্রেমী হন আর দামটা যদি খুব একটা ম্যাটার না করে তবে নিঃসন্দেহে হতে পারে এই মোবাইলটি আপনার পছন্দের শীর্ষে থাকা একটি মোবাইল। তবে মনে রাখবেন আইফোন কেনার আগে এবং পরে আপনার পকেটে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকা লাগবে। কেননা ফোনটা যেমন দামী সেইসাথে ফোনটি লালন-পালন খরচও তেমন বেশি।
আপনার বাজেট আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স-এর থেকে কিছু কম হলে আর প্রসেসর, ক্যামেরা ও ব্যাটারি এর চাহিদা ততোধিক না থাকলে আপনি আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স নিতে পারেন। তবে যদি আপনার কাছে ব্যাটারির চার্জিং স্থায়িত্ব কোনো সমস্যা মনে না হয় তাহলে আইফোন ১৩ প্রো নিতে পারেন।
আর আপনি যদি একটি মোবাইল কিনবেন বলে চিন্তা করে থাকেন আর বাজেট যদি হয় এই দামের আশেপাশে তবে চোখ বন্ধ করে এই আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স মোবাইলটি কিনতে পারেন। কেননা এর প্রসেসর, অপারেটিং সিস্টেম, ক্যামেরা, ব্যাটারি, ডিসপ্লে, সাউন্ড সিস্টেম সহ প্রায় সকল ফিচারই অ্যাপলের সর্বশেষ সংস্করণ, যার ফলে এর থেকে আগের তুলনায় আরও উন্নত অভিজ্ঞতাই কাম্য। আশা করি, আপনার মোবাইলটি সম্পর্কিত মনের সমস্ত আশাগুলো এই রিভিউ ব্লগ এর মাধ্যমে পূরন করতে সক্ষম হয়েছি।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপল, মোবাইল প্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা একটি নাম। ব্যক্তিগতভাবে অ্যাপল নাম শুনলে আমার মাঝেও একটা দুর্বলতা কাজ করে। যেহেতু আগেও অ্যাপল এর প্রায় সকল মডেল বাজারে এসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় এই মোবাইলটিও সকল মোবাইল ব্যাবহারকারীদের মন জয় করে তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পরবে।
The information is really very helpful.
Ba
I think is the best phone in the world. I just become a big fan of this phone. Thanks to bdprice.com for giving us the information
its really nice phone.
Hi
Love this phone, this is very good quality and Nice look overall Awesome phone
Wow
Cute mobile
Very Good.
Awesome
nice
Good on
Good
Very nice
Nc
Wow
Good
Nice looking
Wow
How so nice
This phone good..but i am poor.i can’t buy this phone 🙂