Xiaomi এর ফ্লাগশিপ ডিভাইস লাইন-আপে Xiaomi 13 সিরিজের লাইট ভার্সন Xiaomi 13 Lite গ্লোবালি এবছরের মার্চ মাসে লঞ্চ হলেও বাংলাদেশের বাজারে এটি অফিসিয়াল ভাবে পাওয়া যেতো না। Finally শাওমি বাংলাদেশ অক্টবর মাসে ডিভাইসটি বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ঘোষণা করে। তবে আনঅফিসিয়াল ভাবে এই ফোনটি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। তো সেক্ষেত্রে ডিভাইসটি Xiaomi প্রেমিদের কাছে এখন পুরাতন হয়ে গেছে। তবে গরীবের আইফোন খ্যাত এই স্মার্টফোনটি এখনো অনেকটাই জনপ্রীয় Xiaomi স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে। শাওমি বাংলাদেশ এই ফোনটির ৮জিবি+২৫৬জিবি ভ্যরিয়েন্ট এর দাম নির্ধারণ করেছে ৪৯,৯৯৯ টাকা মাত্র। বছরের শেষে এসে এই বাজেটে ডিভাইসটি কতো টা Value for money, এবং এই বাজাটে কি কি অফার করছে সে সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক!
ডিজাইন ও ডিস্প্লে:
এই স্মার্টফোনটি একটি মিড রেঞ্জ বাজেটের ডিভাইস। এর মূল আকর্ষণ হলো এটির ডিজাইন এবং লুক এ। কার্ভ ডিসপ্লেযুক্ত ফোনটির ডিসপ্লে তে ক্যাপস্যুল মডিউলের একটি ক্যামেরা হোল আছে। যেটি দেখতে একদমই iPhone 14 Pro Max এর মতো। এজন্যই এটি গরীবের আইফোন নামে পরিচিত। আল্ট্রা স্লিম এই ফোনটি ৭.২ মিলিমিটার পুরু। এই কারনে অনেকের কাছে খুব পছন্দের এই ডিভাইসটি। ১৭১ গ্রাম ওজনের ডিভাইসটি যতটা স্লিম ততটাই হাল্কা। ফোনটিতে ৬.৫৫ ইঞ্চির একটি AMOLED ডিসপ্লে প্যানেল আছে, যার সর্বোচ্চ পিক ব্রাইটনেস ১০০০ নিটস। যা আউটডোর কন্ডিশনে স্ক্রিন দেখার জন্য খুব ভালো সাপোর্ট দিবে। এছাড়াও ডিসপ্লেটি তে ৬৮ বিলিয়ন কালারস এর সাথে Dolby Vision, HDR10+ ও 120Hz রিফ্রেস রেট থাকছে। গরিলা গ্লাস ৫ দ্বারা সুরক্ষিত স্মার্টফোনটির টাচ পারফর্মেন্স এবং মাল্টিমিডিয়া ভিউ এক্সপেরিয়েন্স এই বাজেটে সেরাদের অবস্থানে। তবে এর প্লাস্টিক বিল্ড বডিটি এই বাজেটে আপনাকে কিছুটা হতাশ করবে।
প্রসেসর এক্সপেরিয়েন্স:
Xiaomi 13 Lite স্মার্ট ফোনটিতে একদমই নতুন একটি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। Snapdragon 7 Gen 1 চিপসেট টি ৪ ন্যানোমিটার ফেব্রিকেশন এ তৈরী একটি পাওয়ারফুল প্রসেসর। অক্টা-কোর প্রসেসরটির সর্বোচ্চ ক্লক স্পিড ২.৪ গেগা হার্জ। এটার পাওয়ার আউটপুট খুবই ভালো, সেই সাথে ব্যাটারি ব্যাক-আপ ও অসাধারণ। PUBG, COD, Asphalt 9 গেমগুলি মিডিয়াম গ্রাফিক্স এ খুব ভালোভাবেই খেলা যাবে। পাব্জি তে স্মুথ এবং ব্যালেন্স কনফিগারে এটি 55 fps এ স্ট্যাবল পারফর্মেন্স দেয়। এছাড়া Free Fire এবং এই ধরনের নিম্ন কোয়ালিটির গেম গুলো হাই গ্রাফিক্স এ খুব ভালোভাবে খেলা যাবে। হিটিং ইস্যু তেমন একটা নেই, তবে অনেকক্ষন গেম খেললে কিছুটা তাপ অনুভব হয়। এটিতে একটি Custom stainless steel vacuum chamber ব্যবহার করা হয়েছে, যার কারনে উচ্চ তাপ তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ক্যামেরা:
স্মার্টফোনটির ক্যামেরা তে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এর একটি ওয়াইড লেন্স, যার এপারেচার ১.৮। সেই সাথে ৮ মেগাপিক্সেল এর আলট্রা ওয়াইড এবং ২ মেগাপিক্সেল এর একটি ম্যাক্রো সেন্সর রয়েছে। এই ক্যামেরা কম্বিনেশন-এ ডিভাইসটি থেকে বেটার ক্যামেরা পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে। ইনডোর এবং আউটডোর লাইট কন্ডিশনে ক্যামেরার আউটপুট অসাধারণ। ফ্রন্টে রয়েছে ২ টি সেন্সর, যার ১ম টি ৩২ মেগাপিক্সেল এর আল্ট্রা ওয়াইড এবং অন্য টি ৮ মেগাপিক্সেল এর ডেপ্ত সেন্সর। এই ফোনটি বিশেষ করে সেলফি ক্যামেরা ফোকাসে তৈরী। সেলফি ক্যামেরার সাথে ডিভাইসটির ফ্রন্টে ডুয়েল LED থাকছে। যার দ্বারা নাইট কন্ডিশনে সেলফি আউটপুট এক কথায় অসাধারণ। ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ 4K@30fps এ ভিডিও রেকর্ড করা যাবে এবং সেলফি ক্যামেরা তে সর্বোচ্চ 1080p@60fps এ।
স্টোরেজ, কানেক্টিভিটি ও ব্যাটারি:
৮ জিবি র্যাম এর সাথে ১২৮ জিবি ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট-এ পাওয়া যাবে ডিভাইসটি। UFS 2.2 এর স্টোরেজ টাইপ আছে ডিভাইসটিতে। তবে বাজেট বিবেচনায় এটি UFS 3.0 আশা করা যেতেই পারে। এছাড়াও এটিতে Bluetooth 5.2, Wi-Fi 6, NFC, Infrared port, USB Type-C 2.0, OTG সুবিধা থাকছে। আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকছে ডিভাইসটিতে। ৪৫০০ এম এ এইচ এর একটি ব্যাটারি থাকছে ডিভাইসটিতে যা ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দ্বারা সম্পূর্ণ চার্জ হতে ৪০ মিনিট সময় নেয়। ডিভাইসটি ৯৩ ঘন্টা স্ক্রিন অন টাইম এর সাথে 3G নেটওয়ার্ক এ ২৩ ঘন্টা ৪৮ মিনিট কথা বলা যাবে, ১২ ঘন্টা ১৪ মিনিট নেট ব্রাউজিং করা যাবে এবং ১৭ ঘন্টা ভিডিও প্লে-ব্যাক করা যাবে। এছাড়াও ডিভাইসটি দিয়ে এভারেজ-এ ৫/৬ ঘন্টা গেম প্লে করা যাবে। সর্বোপরি ডিভাইসটি এই বাজেটে মোটামুটি কম্বিনেশান। তবে বাজেট টা যদি ৪০ হাজারের আশেপাশে থাকতো তাহলে আমার মনে হয়, এই বাজেটে সেরা ডিভাইস হতো Xiaomi 13 Lite।
I went over this internet site and I conceive you have a lot of fantastic information, saved to favorites (:.